হাফিজুর রহমান, তালতলী (প্রতিনিধি) বরগুনা
তালতলী বতিপাড়ার গ্রামের বীরু মিয়ার কাছে আছে এখনো ২০ বছর আগের তালতলীর ঐতিহ্য সেই পায় চালানো ঘোড়ার গাড়ির আদলে তৈরি বাক্স রিক্সা যা চালিয়ে এখনো তার জীবিকা নির্বাহ করেন

তালতলীতে ২০ বছর আগে শহরের যোগাযোগ ব্যাবস্থা ছিলো খারাপ তালতলী ছিল আমতলী উপজেলার অদিনে রাস্তাঘাট কোথাও পাকা ছিলনা গ্রাম থেকে তালতলী বাজারে আসতে হত হেঁটে মানুষের দুর্ভোগের সিমা ছিলনা।

কিছু কিছু জায়গায় ছিলো নিজেদের মনগড়া তৈরি এই বাক্স রিক্সা চার জন করে বসিয়ে একজনে চালাতো পিছন দিয়ে আর একজনে ঠেলতো ভাড়া ছিল ১০ বা ১৫ টাকায় ১৫ /২০ মাইল এরকম করে মাইলের পর মাইল কস্ট করে পৌছিয়ে দিত তালতলী বাজারে এর পরে মানুষ লঞ্চে করে আমতলী বা বরগুনা হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতে হতো যান্ত্রিক উন্নতি ও রাস্তা গাট হওয়ায় এখন আর চোখে পরেনা সেই বাক্স রিক্সাকিন্তু সেই ঐতিহ্য এখনো দরে রেখেই জীবনের সাথে যুদ্ধ করে জীবিকা নির্বাহ করে তালতলীর বীরু মিয়া তার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম আর্থিক আনাটনের কারনে দেশের যান্ত্রিক অটো রিক্সা কেনা সম্ভব হয়না তাই সে এখনো পায়ে প্যাটল দিয়ে চালানো তালতলীর ঐতিহ্য বাক্স গাড়ি চালান তিনি আরো বলেন আমাকে দেখে এখনো অনেক মানুষে হাসি ঠাট্টা করে এই বাক্স চালান কেনো কিন্তু আমি সেই ছোট বেলা থেকেই এই গাড়ি চালিয়ে আমার সংসার চালাই এবং এটা আমাদের তালতলীর ঐতিহ্য এটা চালিয়ে বাকি জীবন পার করবো।মানুষ এই গাড়িতে চরতে চায়না তাই কিছু কিছু সময় আমি গ্রাম থেকে নারিকেল ক্রায় করে বাজারে বিক্রি করেই দিন পারকরি।

এলাকার তরুণ সমাজের কাছে এই বাক্স গাড়ির কথা যানতে চাইলে বলেন আমরা এই গাড়ি বাংলাদেশের কোথাও দেখিনি এইখানে এই বীরু মিয়াকেই দেখি তবে বাবাদের কাছে এই গাড়ির কথা অনেক সুনছি তারা নাকি এই গাড়িতে চরেই সকল যায়গায় যেতে হতো এই বাক্স রিক্সাই ছিল তালতলী থেকে বিভিন্ন যায়গায় যাতায়াত ব্যাবস্থার একমাত্র যানবাহন।

তালতলীর এই বাক্স রিস্কা সম্পর্কে বয়স্কদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান আমাদের এলাকার রিক্সা মেকার লাল মিয়াই প্রথম এই বাক্স গাড়ি ঘোড়ার গাড়ির আদলে তৈরি করেন তার কাছ থেকেই সকলে সিখে ছিল। এই গাড়িতে চরতে আরাম দায়ক ছিল কম গতির গাড়ি হাওয়ায় এক্সিডেন্ট এর সংখ্যা খুব কম ছিল চার জন করে চরা জেতো সহরের যে গাড়ি ছিলো সেগুলো এদিকে চালানো যেতনা অয়াপদায় প্রচুর বাতাস থাকতো যা চালানো ছিল খুব কস্ট দায়ক তাই এই বাক্স রিক্সার প্রচালনা ছিল এই গাড়িই ছিল তালতলীতে যাতায়াত ব্যাবস্থার একমাত্র যানবাহন।

নিরাপদ সরক চাই সামাজিক সংগঠনের আহবায়ক নজরুল ইসলাম খান লিটু বলেন ,একটা সময় ছিল গ্রাম থেকে তালতলী হেটে আসতে হত মানুষকে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল কিনতে বা জরুরী কাজের জন্য। কিছু কিছু জায়গাতে এই বাক্স রিক্সা ছিলো পায় চালিয়ে অনেক সময় ব্যায় করে আসতে হত। কিন্তু এখন যান্ত্রিক উন্নতি হওয়ায় যেমন সময়ও বাচে তেমন রাস্তায় এক্সিডেন্টও হয় আগের মত সেই সময় নিয়ে যাত্রা সুভ ছিল।